কুমিল্লার মুরাদনগরে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টাকালে উপস্থিত স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও লোকজন তা প্রতিরোধ করে দিয়েছে। রবিবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার নিমাইকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার নিমাইকান্দি গ্রামের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা সদস্য মাহবুব শাহ জালালের পরিবার নিমাইকান্দি গ্রামে পাউবোর বেড়ী বাধের পাশে তাদের ক্রয়কৃত জমিতে ঘর বাড়ি তুলে বসবাস করে আসছে। কিন্তু একই গ্রামের একটি মহলের ইন্ধনে পাউবোর কর্মকর্তাদের ভুল তথ্য দিয়ে তাদের বাড়ির সামনের ৫ শতাংশ জমি পাউবোর দাবি করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম ৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে। কিন্তু ওই মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাই মাহবুব আলম টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই সম্পত্তি থেকে তাদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদের জন্য এরই মধ্যে লিখিত ও মৌখিকভাবে নোটিশ প্রদান করলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে গত ২০ আগষ্ট মাহবুবু আলম বাদী হয়ে পাউবোর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম ও একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের (আলম) বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। এতে ওই সম্পত্তিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখাসহ আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মুরাদনগর থানার ওসি নির্দেশ দেয়া হয়। তবে আদালতের এ নির্দেশের পরও পাউবোর ওই কর্মকর্তা স্থানীয় একটি চক্রের ইন্ধনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওই পরিবারকে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে রবিবার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটে। এ সময় থানার এএসআই আবদুল আজিজ ওই সম্পত্তিতে আদালতের স্থিতিবস্থার বিষয়টি কর্মকর্তাদের অবহিত করলে তারা উচ্ছেদ অভিযান থেকে পিছু হটেন। এ বিষয়ে শহীদ পরিবারের সন্তান ও মামলার বাদী মাহবুব আলম জানান, পাউবো’র গোমতী বাঁধের মুরাদনগরসহ অন্যান্য উপজেলার উভয় তীরে হাজার হাজার অবৈধ স্থাপনা থাকলেও এগুলি উচ্ছেদ না করে স্থানীয় একটি চক্রের ইন্ধনে এবং তার নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা না পেয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম জানান, মাহবুব আলমের বাড়ির সাথে পাউবো’র কিছু জায়গা রয়েছে, স্থানীয়রা এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে,তাই পাউবোর জমি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, কিন্তু আদালতের নির্দেশের কারনে আপাতত উচ্ছেদ বন্ধ রাখা হয়েছে। উৎকোচ চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস